বলা হয়ে থাকে জাতীয় পার্টি দুর্গ ‘রংপুর বিভাগ’। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই দুর্গ ধ্বসে পড়েছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাড়ি রংপুরে হওয়ায় এ অঞ্চল দলটির দুর্গে পরিণত হয়। নির্বাচনে রংপুর বিভাগের অধিকাংশ আসনেই জাতীয় পার্টির ভরাডুবি হয়েছে। পরাজয়ের নেপথ্যে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ জনগণের মতামতের মূল্যায়ন না করাকে দুষছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
রংপুর বিভাগের আট জেলার ৩৩টি আসনের জাতীয় পার্টি মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছে। এসব আসনে নৌকা প্রতীক ছিল না বলেই জয় এসেছে। নইলে পরাজয় হতে পারত বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা। প্রার্থীরা কোথাও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেননি। সমঝোতার রাজনীতিতে সাংগঠনিক সক্ষমতা ধ্বংস হয়েছে বলছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া প্রচার ও তৃণমূলে সমন্বয় এবং শীর্ষ নেতার সঠিক নির্দেশনা না থাকাকেই দায়ী করেছেন অনেকেই। দলের এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না। ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে দলের অবস্থান নিয়ে শঙ্কিত তারা।
এদিকে সমঝোতার ২৬ আসনের মধ্যে রংপুর বিভাগে ছিল ৯টি। এর মধ্যে রংপুর-৩ আসনে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং কুড়িগ্রাম-১ আসনে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান জিততে পেরেছেন। হেরেছেন নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে ব্যারিস্টার শামীম পাটোয়ারী এবং গাইবান্ধা-২ আসনে আব্দুর রশিদ সরকার।
জানা যায়, রংপুর জেলায় গত নির্বাচনে দুজন জয়ী হলেও কেবল জিএম কাদের জিতেছেন। রংপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রের কাছে নাস্তানুবাদ হয়েছেন হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ও মসিউর রহমান রাঙ্গা।
