পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে ১৮৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ, কন্যা ও জামাতা। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত গত বৃহস্পতিবার এ মামলা করেন বলে জানান সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আখতারুল ইসলাম।
মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের পাশাপাশি মামলার আসামিরা হলেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের স্ত্রী ও কোম্পানির পরিচালক ফজলুতুন নেসা, মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান, পুত্রবধূ শাফিয়া সোবহান চৌধুরী ও আরেক মেয়ে তাসনিয়া কামরুন আনিকা। এ ছয়জনের বাইরে মামলার অন্য দুই আসামি হচ্ছেন কোম্পানির সদ্য বিদায়ী মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমান ও পদত্যাগকারী পরিচালক নূর-ই-হাফজা।
নিরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর আগে গত এপ্রিলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে। মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি। তাঁর ছক অনুযায়ীই সোনালী লাইফের তহবিল তছরুপের অভিযোগ উঠলে গত ৩১ ডিসেম্বর বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) হুদা ভাসিকে নিরীক্ষক নিয়োগ করে।
হুদা ভাসি গত এপ্রিলে প্রতিবেদন জমা দেয় আইডিআরএর কাছে। বিমাকারী ও বিমা গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার্থে কোম্পানিটির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে গত এপ্রিলেই প্রশাসক বসায় আইডিআরএ। কোম্পানিটি এখন প্রশাসকের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে। এদিকে কোম্পানিটির ওপর পূর্ণাঙ্গ ও নিবিড় নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির কাজও চলমান।
মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস গণমাধ্যমকে বলেন, মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে এ মামলা হয়ে থাকতে পারে। একটি পরিবারকে লক্ষ্য করে এসব করা হচ্ছে। সোনালী লাইফ চলছে আমার ইম্পেরিয়াল ভবনে। যে টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, অফিস ভাড়ার টাকা সমন্বয় করলে তা পূরণ হয়ে যাবে। কিছু ভুলভ্রান্তি থাকলেও বড় কোনো অন্যায় আমি করিনি।