জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ছয়মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে কাল ৮ ফেব্রুয়ারি। এই সময় সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে সংস্কারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবি দীর্ঘদিনের। এটি নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত রয়েছে। পৃথক সচিবালয়ে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠায় আইন তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ৩৬ ধরনের ডকুমেন্ট আইন মন্ত্রণালয় সত্যায়ন করতো। ম্যানুয়ালি এ কাজ সম্পাদনের ফলে জনসাধারণকে অনেক হয়রানি পোহাতে হয়েছে। তা নিরসনে এ কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে অনলাইন হচ্ছে। এতে করে জনগণের অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় হচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ভিন্নমত দমনে দায়ের করা ‘গায়েবি’ মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। মামলাগুলো প্রত্যাহারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিবাহ সম্পাদনে আরোপিত একটি কর ছিল। আইন মন্ত্রণালয় এই অযৌক্তিক কর আরোপ বাতিল করেছে।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সাইবার আইন প্রত্যাহার কিংবা সংশোধন নিয়ে কাজ চলমান। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলের মতামত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডিটেইল চিন্তা করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। তবে ওই আইনে যে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশের গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনায় অযোগ্য লোকদের বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হতো। যোগ্য বিচারক নিয়োগের সঙ্গে দেশের ১৮ কোটি মানুষের সুবিচার পাবার নিশ্চয়তা নিহিত। অভিজ্ঞ দল নিরপেক্ষ প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা যেন বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এ চাহিদা ও দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন- ১৯৭৩ অংশীজন ও বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে সংশোধন করা হয়েছে।