রবিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

যে কারণে লাগামছাড়া আলুর দাম

যে কারণে লাগামছাড়া আলুর দাম

এখন আলুর ভরা মৌসুম। তারপরও চড়া দামে আলু কিনতে হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। আলুর এমন লাগামছাড়া দাম নিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে ক্ষোভ বাড়ছে। আমদানি বন্ধের পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ার কারণে মৌসুমের শুরু থেকেই দেশে আলুর জন্য বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিচং’র সময় বৃষ্টিতে দেশে আলুর উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে মৌসুমের শুরুতে আগাম জাতের আলুর সরবরাহ কমে যায়।

তারা মনে করেন, আমদানি বন্ধ হওয়ায় আলুর সরবরাহ আরও কমে গেছে। তাই ক্রেতাদের এখন তুলনামূলক বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এক বছর আগে ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি। গত মাসে আলুর খুচরা দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৩৪ শতাংশ।

ঢাকার প্রধান কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন আলু আসলেই বাজারে আলুর দাম কমতে শুরু করে; কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম ঘটছে। মৌসুমের শুরুতে আলুর দাম এত বাড়তে দেখেনি বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, নতুন আলু বাজারে আসছে। আবার পুরাতন আলুর মজুদ থেকে গেছে। তবে আলুর দাম কমার লক্ষণ নাই, বরং বাড়ছে।

গত বছর এই সময়ে তিনি ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছিলেন। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

এদিকে আলু চাষিরা জানান, গত বছর প্রতি বিঘা জমি থেকে ৭০-৮০ মণ আলু পাওয়া গেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর বিঘাপ্রতি মাত্র ৪০-৪২ মণ আলু ঘরে উঠেছে। এ বছর আলুর উৎপাদন কম।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে জানা গেছে, ২০১৮ সালে প্রতি কেজি আলুর গড় পাইকারি দাম ছিল ১৯ টাকা ৬৩ পয়সা, ২০১৯ সালে ২০ টাকা ৪৬ পয়সা ও ২০২০ সালে ১৯ টাকা ৫৮ পয়সা।

বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, গত ডিসেম্বরের আগেই হিমাগারে থাকা আলুর মজুদ শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে হিমাগার থেকে বাজারে আলু সরবরাহ করা হচ্ছে না।