সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

মালদ্বীপের দিকে চীনের জাহাজ; ভারতের উদ্বেগ

মালদ্বীপের দিকে চীনের জাহাজ; ভারতের উদ্বেগ

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, জাহাজটি মূলত একটি গবেষণা জাহাজ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। এটি ভারত মহাসাগরের তলদেশে ম্যাপিংয়ের কাজ করে থাকে। 

ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্র তলদেশের ম্যাপিং করে পাওয়া তথ্য ভবিষ্যতে চীনের সাবমেরিন অথবা ডুবন্ত ড্রোন চলাচলে সহায়ক হবে। 

বিখ্যাত ভূ-স্থানিক বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সায়মন জানিয়েছেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মালেতে পৌঁছাবে জাহাজটি। ২০১৯ ও ২০২০ সালেও এই জলসীমায় জরিপ চালিয়েছিল জাহাজটি।
 
এর আগে, নয়াদিল্লির চাপে জাহাজটিকে নিজেদের বন্দরে ভিড়তে দেয়নি শ্রীলঙ্কা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ভারতকে চাপে ফেলতে মালদ্বীপে ভিড়তে যাচ্ছে ‘শিয়াং ইয়াং হোং ০৩’ নামের চীনা জাহাজটি।

সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজ ট্রেকিংকারী অ্যাপ দ্য মেরিন ট্রেকারে অ্যাপে দেখা গেছে, চীনের ওই জাহাজটি এখন ইন্দোনেশিয়ার উপকূল দিয়ে মালদ্বীপের দিকে এগিয়ে চলেছে। জাহাজটি এরই মধ্যে সুন্দা প্রণালী দিয়ে জাভা ও সুমাত্রার মধ্যবর্তী অঞ্চল পার হয়ে এসেছে।

মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, জাহাজটি কোনো গবেষণা করবে না বলে জানিয়েছে। চীনা সরকারের ‘জিয়ান ইয়াং হং ০৩’ জাহাজটি ‘কর্মী ও রসদের পালাবদলের জন্য’ মালদ্বীপ যাচ্ছে। জাহাজটি মালের বন্দরে যেন ‘পোর্ট কল’ পায়, সে জন্য চীনের সরকারের পক্ষ থেকে মালদ্বীপ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) জাহাজটি মালে পৌঁছানোর কথা। বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর যেকোনো জাহাজকে মালদ্বীপ সব সময় স্বাগত জানায়। এ ছাড়া নিয়মিত শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে বেসামরিক ও সামরিক জাহাজের ‘পোর্ট কল’ গ্রহণ করেছে।

গত নভেম্বরে ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচি দিয়ে মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু। এর পর থেকে ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্কে চিড় ধরে। ভারতকে ১৫ মার্চের মধ্যে মালদ্বীপে থাকা তাদের সব সৈন্য সরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।