উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে গত ৫ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। তাপমাত্রার পারদ ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলেও কুড়িগ্রামে কমেনি শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। একেবারে জবুথবু অবস্থা। কুয়াশায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন নদনদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপচরের হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে শীত ও ঠাণ্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৩১ জন শিশু। সবমিলিয়ে হাসপাতালটিতে ৭২ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শর্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭ জন শিশু।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এ জেলাটি হিমালয়ের কাছে অবস্থিত হওয়ায় এখানে ঠাণ্ডার প্রকোপ একটু বেশি। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন অধিকাংশই চরাঞ্চলের মানুষ। ডায়রিয়া নিউমোনিয়া শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
