আলোচিত প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি চিকিৎসক সবুজ কুমার গ্রেফতার হয়েছেন। ভারতে পালানোর সময় তাকে সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে বরগুনার গোয়েন্দা পুলিশ।
চিকিৎসক সবুজ বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার মসনি গ্রামের সনাতন দাসের ছেলে। রবিবার ওই চিকিৎসককে আদালতে হাজির করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বশির আলম।
জানা যায়, হত্যা মামলার প্রধান আসামি সবুজ কুমার দাস ১৫ নভেম্বর থেকে পলাতক থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তন্দুল সীমান্ত এলাকা থেকে র্যাবের সহযোগিতায় বরগুনার ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আলম জানান, বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলার সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৫ নভেম্বর সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূ মোসা. মেঘলা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর একদিন পর গৃহবধূ মেঘলার বাবা ছগির হাওলাদার বামনা থানায় ১৬ নভেম্বর সবুজসহ ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ৩ নম্বর আসামি ক্লিনিকের মালিক ও ডৌয়াতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানকে ১৯ জানুয়ারি ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলাটি আদালতের মাধ্যমে জেলা গোয়াল শাখার (ডিবি) পুলিশ ওই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। মামলা হওয়ার পর অভিযুক্ত চিকিৎসক সবুজসহ অন্যরা পালিয়ে থাকে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান শুরু করার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তন্দুল সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পালানোর চেষ্টার সময় প্রধান আসামি চিকিৎসক সবুজ কুমার দাসকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আলম বলেন, প্রধান আসামি সবুজ দাস দেশ থেকে ভারতে পালানোর সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তন্দুল সীমান্ত এলাকা থেকে শনিবার ভোরে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
-1707047596.jpg)